- জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-বয়স নির্বিশেষে গ্রামীণ জনপদের সকলে এই পাঠাগার ও জাদুঘরের মাধ্যমে কৃষি, মৃত্তিকা, বনায়ন, মৎস্য, প্রাণী, জীববৈচিত্র্য, আবহাওয়া, বাজার প্রভৃতি বিষয়ে নানামাত্রায় তথ্য নিয়ে কৃষি বিষয়ক জ্ঞানের জ্ঞ্যাপ পূরণ করে।
- পাঠাগার চত্বরে যোগ্য ও উপযোগী শিক্ষকের তত্বাবধায়নে সকাল-বিকেল ন্যূনতম ৫০ টি শিশু শিক্ষার্থীর নিয়মিত পাঠদান দেয়া এবং কৃষি সংক্রান্ত কবিতাসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা ব্যবস্থা করা হয়। ফলে কৃষক পরিবারের কাছে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার ‘বাতিঘর’ হিসেবে কাজ করছে।
- কৃষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সমাজবিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী, কৃষিবিদ, মৎস্যবিদ, প্রাণিবিজ্ঞানী, উদ্ভিদবিজ্ঞানী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারগণ পাঠাগার ও জাদুঘর পরিদর্শন করে নিজেরা কৃষি বিষয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি জেনে, দেখে উৎসাহিত-ঋদ্ধ ও সমৃদ্ধ হন এবং প্রতিষ্ঠানকে উন্নতমানের সব কিছুতেই সমৃদ্ধ করেন।
- প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যে সব প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো
- ধান চাষ বিষয়
- ফল, ফুল ও মাশরুম চাষ
- মাটির স্বাস্থ্য-মাটি পরীক্ষা
- ডাল ও তেল চাষ
- প্রাণিপালন ও চিকিৎসাসেবা
- বনায়ন
- বীজ সংরক্ষণ
- জীববৈচিত্র্য রক্ষা
- কাঠ চেরাই ও সংরক্ষণ
- নিরাপদ খাবার
- স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রভৃতি।
- উচ্চতর শিক্ষার্থীদের কৃষির নানান অনুষঙ্গের নানা মাত্রায় সহযোগিতা করা হয়।
- বিভিন্ন পরিদর্শনকারী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বগণ উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের চলমান কার্যক্রম প্রচার করে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে কৃষি ভিত্তিক নান্দনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিনিয়ত তুলে ধরছেন।
- কৃষিবিদ, মৎস্যবিজ্ঞানী, প্রাণিবিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকগণের সহযোগিতায় একত্রে কৃষি ও কৃষকের স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে সেবা দেয়া হয়।
- বৃক্ষরোপন (ফলজ, বনজ, ঔষধি ও ফুল) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, বিনোদন, দেশাত্ববোধ জাগ্রত বিষয়ে বিশেষ বিশেষ দিনে উপযোগী অনুষ্ঠান করা হয়।
- কৃষি কাজে সৃজনশীল প্রতিভাবান কৃষকদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মের স্বীকৃতিহিসেবে পুরস্কার দেয়া হয়।